গরুর গোয়ালে চিতার বাসা! গরু ও বাঘের মিষ্টি বন্ধুত্বের ভিডিও দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের
চিতাবাঘটি গ্রামে প্রবেশ করে কোনোরকম গবাদি পশুর ক্ষতি না করে বরং বন্ধুত্ব করে ফেলে একটি গরুর সাথে।

আমরা প্রত্যেকেই ছোটবেলা থেকে শুনে ও পড়ে এসেছি যে গরু একটি গৃহপালিত পশু। আর এই পশুটি অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের হয়। এটি একটি নিরীহ প্রাণীর পাশাপাশি মানুষের কাছে অত্যন্ত উপকারী প্রাণীও বটে। এছাড়াও হিন্দুদের কাছে গরু একটি অত্যন্ত পবিত্র ও পূজনীয় প্রাণী। যার কারণে গরুকে মায়ের চোখে দেখা হয় ও এর পূজা করা হয়। ভারতের অর্থনীতিতেও রয়েছে গরুর বিশেষ ভূমিকা। গরুর দুধ থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন রকমের খাবার। যার কারণে এই প্রাণীটির ওপর নির্ভর করে থাকে গোটা দেশের মানুষ। ফলে সকলের ওপরে থাকে এই প্রাণীটির স্থান।
অপরদিকে গরুর বিপরীত স্বভাবের একটি প্রাণী হল চিতাবাঘ। এই প্রাণীটি অত্যন্ত হিংস্র এবং ধূর্ত। চিতাবাঘ মাংসাশী প্রাণী হওয়ার দরুন মানুষ সহ অনেক প্রাণীই একে ভয় পায়। কারণ চিতাবাঘের নজর এড়িয়ে যাওয়া খুবই মুশকিল। যার কারণে এই প্রাণীটি তকমা পেয়েছে বিশ্বের দ্রুত প্রাণীর। চিতাবাঘ প্রায় ১০৩ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার গতিতে দৌড়াতে সক্ষম। যার ফলে জঙ্গলে যদি কোনো প্রাণী এর নজরে আসে তাহলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত। যার কারণে বন-জঙ্গলের প্রতিটি শাকাহারী প্রাণীই একে এড়িয়ে চলে।
তবে ২০০২ সালে গুজরাটে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা সকলকে ভীষণভাবে অবাক করে দিয়েছিল। একসময় হঠাৎ করেই গুজরাটের একটি গ্রামে চিতাবাঘের আনাগোনা বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে চিতাবাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে গৃহপালিত পশুদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে থাকে। তাই একসময় অতিষ্ঠ হয়ে সেই গ্রামের অধিবাসীরা খবর দেন বনদপ্তরকে। এরপর বনদপ্তরের আধিকারিকরা সেই গ্রামে এসে চিতাবাঘটিকে ধরে জঙ্গলে নিয়ে ছেড়ে দেন।
এমতাবস্থায় সেই গ্রামের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই গ্রামে শুরু হয় আরো একটি চিতাবাঘের উপদ্রব। আর এবারই ঘটে একটি অদ্ভুত ঘটনা। যা রীতিমতো অবাক করে দেয় সকলকে। এবারের চিতাবাঘটি গ্রামে প্রবেশ করে কোনোরকম গবাদি পশুর ক্ষতি না করে বরং বন্ধুত্ব করে ফেলে একটি গরুর সাথে। ফলে সে নিয়মিত গরুটিকে দেখতে সেই গ্রামে আসতে থাকে। আর এই ঘটনাটি ছড়িয়ে পরে গোটা ভারত জুড়ে।