হুবহু মানুষের মতো কথা বলে তাক লাগাল লাল রঙের টিয়া পাখি, তুমুল ভাইরাল ভিডিও
বাংলার বুকে বিভিন্ন বাড়িতে সচরাচর যে পাখিটি দেখতে পাওয়া যায় সেটি হল টিয়া পাখি।

বাংলার বুকে বিভিন্ন বাড়িতে সচরাচর যে পাখিটি দেখতে পাওয়া যায় সেটি হল টিয়া পাখি (Parrot)। এরা সাধারণত মানব বসতির কাছেই বড়ো বড়ো গাছে বাসা বেঁধে বাস করে। এছাড়াও এই পাখিটিকে অনেকেই বাড়িতেও পুষে রাখেন। কেউ খোলামেলা উঠোনে রেখে দেন, আবার কেউ খাঁচায় পুরে রাখেন।
জীববিজ্ঞানীদের কাছে এই পাখিটির আরও এক পরিচয় আছে। এই পাখিটি তাঁদের কাছে ‘সিট্টাসিনি’ নামে পরিচিত। ৮৬টি গণ ও ৩৭২টি প্রজাতির সমন্বয়ে ‘সিট্টাসিনি’ রয়েছে এই পৃথিবী জুড়ে। এই পাখির উপস্থিতি মূলত উষ্ণ ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে লক্ষ্য করা যায়। তবে এদের কিছু প্রজাতির বসবাস নাতিশীতোষ্ণ দক্ষিণ গোলার্ধেও আছে। এই পাখির আধিক্য অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ গোলার্ধে দেখা যায়।
সাধারণত আশেপাশে সবুজে রঙের টিয়াপাখি দেখতে পাওয়া গেলেও, আরও নানান রকমের টিয়াপাখির অস্তিত্ব রয়েছে এই পৃথিবীতে। এইরকমই ‘চ্যাটারিং লোরি’ (Chattering Lorry) নামক এক বিরল প্রজাতির অন্তর্গত হল লাল টিয়াপাখি। লাল টিয়াপাখি সচরাচর খালি চোখে দেখা যায় না। এদের বসতি মূলত ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) উত্তর মালুকুতে (North Maluku)। এই টিয়া পাখির একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়ে যেতে দেখা গেল।
ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে ‘দীপাংশু কাবরা’ (Dipangshu Kabra) নামক এক ব্যক্তির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। ভিডিওটিতে লাল টিয়া পাখি ও তাঁর মালকিনের মধুর কথোপকথন ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। ভিডিওটিতে বাড়ির বারান্দায় এক মোড়কের উপরে লাল টিয়াপাখিটিকে বসে ‘মা’ বলে সম্বোধন করতে দেখা যায়। বুঝতে বাকি নেই যে, সে তাঁর মালকিনকেই ডাকে।
बात करने का अलग ही मज़ा होता है,
जब कोई इतनी आत्मीयता से संवाद करता है.यह खूबसूरत और मासूम वार्तालाप सुनकर लगता है काश हम सभी जीवों से ऐसे ही बात कर सकते… pic.twitter.com/uX80K59OPT
— Dipanshu Kabra (@ipskabra) May 26, 2022
পুরো কথোপকথনই হয় হিন্দিতে। প্রথমে হয়তো পাখিটির আশেপাশে কেউ ছিল না। এই অবস্থায় পাখিটিকে বলতে দেখা যায়, “মাম্মি কাহা হো?” এর উত্তরে একটু দূর থেকে এক মহিলাকে ‘আয়ি বেটা’ বলতে শোনা যায়। দুজনের কথোপকথন এখানেই শেষ হয়নি, আরও কয়েক মিনিট দুইজনকে একইভাবে কথা বলতে শোনা যায়। প্রথমে শুনে মনে হতে পারে, যেন কোনো মানবশিশু কথা বলছে। কিন্তু পরমুহূর্তেই পাখিটিকে কথা বলতে দেখলে বোঝা যাবে যে, এটি পাখিটিরই কার্যকলাপ।