গোখরো সাপের গলায় আটকে গিয়েছে প্লাস্টিকের পাইপ, ভিডিও দেখে তোলপাড় গোটা নেটদুনিয়া
সাপের গলায় আটকে ছিল একটি প্লাস্টিকের পাইপের টুকরো।

সোশ্যাল মিডিয়া আজকাল নানা ধরনের ভাইরাল ভিডিওতে ছড়াছড়ি। পৃথিবীতে যা কিছু ভালো-মন্দ রয়েছে সেই সমস্ত কিছুর ভিডিও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। মানুষের মনোরঞ্জনের অন্যতম ঠিকানা এখন এই সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ভাইরাল হয়ে জীবন পাল্টে গিয়েছে এরকম প্রচুর মানুষ রয়েছে। শুধু মানুষের ক্রিয়াকলাপ নয়, বিভিন্ন জীবজন্তুদের ক্রিয়া-কলাপের ভিডিও রয়েছে সোশাল মাধ্যমে। এর মধ্যে বেশি দেখা যায় সাপেদের ভিডিও। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিষধর সাপের ভিডিও ব্যাপক পরিমাণে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত সাপ উদ্ধারের একটি ভিডিও। এক ব্যক্তি একটি বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার করে সেই সাপটিকে। ওই বাড়ির মালিক জানায় যে ঘরের সিঁড়ির নিচে কিছুটা গর্ত রয়েছে সেখানেই নাকি তারা সাপটিকে দেখেছেন। কিন্তু সাপ উদ্ধারকারী ওই ব্যক্তি প্রথম অবস্থায় সিঁড়িটিকে ভাঙ্গলে সাপের দেখা পায়নি। এরপর পুরো ঘরের মেঝে খুঁড়ে ফেলার পর দেখে দেয়ালের এক পাশে গর্ত করে লুকিয়ে রয়েছে সাপটি। ওই সাপোথারকারী ব্যক্তি খুব সাবধানে সাপটিকে বের করে আনে।
তবে সাপটি খুব সাধারণ অবস্থায় ছিল না। সাপের গলায় আটকে ছিল একটি প্লাস্টিকের পাইপের টুকরো। কোনোভাবে সাপটির মাথা ঢুকে গেছিল ওই প্লাস্টিকের পাইপে। তারপর সেই প্লাস্টিকের পাইপটি আটকে যায় সাপের গলার কাছে। সব উদ্ধারকারী ওই ব্যক্তি সাবধানে প্লাস্টিকের পাইপটি কেটে সাপের মাথা বের করে আনে। তবে সাপটি কিছুটা আহত অবস্থায় ছিল। ভিডিওটিতে দেখা যায় সাপ উদ্ধার কারী ওই ব্যক্তি সাপের মুখ সমেত পুরো সাপটিকে ভালোভাবে জল দিয়ে পরিষ্কার করে। এরপর তিনি সাপটিকে একটি প্লাস্টিকের জারে ভরে নিয়ে চলে যায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
ভিডিওটিতে যে সাপটিকে দেখা গিয়েছে সেটি গোখরা প্রজাতির সাপ। ভারতে যত সাপের প্রজাতি আছে তার মধ্যে এটি অন্যতম বিষধর সাপ হিসেবে পরিচিত। ইংরেজিতে এই সাপটিকে বলা হয় স্পেক্টাকল্ড কোবরা (spectacled cobra)। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এর নাম নাজা নাজা (Naja Naja)। সোশ্যাল মিডিয়া এই ভিডিও আপলোড হতে ব্যাপক পরিমাণে ভাইরাল হয়ে যায়। ‘Mohit Kashyap sarpmitra’ নামক ইউটিউব (youtube) চ্যানেল থেকে ভিডিওটি ১ মাস আগে আপলোড করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ৬০ লক্ষ মানুষ এই ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন। নেটিজেনরা এই ভিডিওটিতে অত্যন্ত ভয়ানক বলে দাবি করেছেন।