লিঙ্গ পরিবর্তনের পরও অন্তরসত্তা যুবক, ছবি শেয়ার করলেন সঙ্গী
সোশ্যাল মিডিয়ার দরুন নিত্যদিন কতকিছুই না চোখে পরে। আর যা সাক্ষী থাকে নেটিজেনরা

সোশ্যাল মিডিয়ার দরুন নিত্যদিন কতকিছুই না চোখে পরে। আর যা সাক্ষী থাকে নেটিজেনরা। বর্তমানে মানুষের সময় কাটানোর একটি অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। যার মাধ্যমে সমাজের ভালো-মন্দ সবকিছুই মানুষের চোখের সামনে উঠে আসে। সম্প্রতি সেরকমই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসলো সকলের কাছে। ঘটনাটি কেরলের। সেখানকার এক রূপান্তরিত যুগল ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বছর তিনেক আগে। সমাজের রক্তচক্ষুর তোয়াক্কা না করে পরিবর্তন করেছিলেন লিঙ্গ। বর্তমানে তারা হতে চলেছেন সন্তানের অভিভাবক। আর যা তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাগ করে নিলেন সকলের সাথে। তাও আবার বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার করে।
কেরলের কোঝিকোড় শহরের বাসিন্দা হলেন জিয়া ও জাহাদ। জন্মগতভাবে ছেলে ছিলেন জিয়া। কিন্তু তিনি মন থেকে নিজেকে মেয়ে মনে করতেন। এরপর স্বাবলম্বী হওয়ার পর নিজের লিঙ্গ পাল্টে ফেলেন তিনি এবং ছেলে থেকে রূপান্তর হন মেয়েতে। প্রায় একই গল্প জাহাদের। মেয়ে হিসেবে জন্ম হয়েছিল জাহাদের। কিন্তু তিনি বরাবরই হতে চেয়েছিলেন ছেলে। ফলে তিনিও জিয়ার মতো নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করান। এরপর দুজনকে অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করতে হয়েছে। দুজনের যখন তিন বছর আগে দেখা হয়েছিল তখন তারা আত্মিক টান অনুভব করেছিলেন।
এরপর একসাথে থাকতে শুরু করেছিলেন জাহাদ ও জিয়া। জিয়ার স্বপ্ন ছিল মা হওয়ার। এমনকি জাহাদও বাবা হতে চেয়েছিলেন। যেহেতু জন্মসূত্রে জাহাদ মেয়ে তাই লিঙ্গ পরিবর্তন করার পরেও গর্ভধারণ করেছেন তিনি। ওই রূপান্তরিত যুগলের দাবি যে তাঁরাই দেশের প্রথম রূপান্তরিত যুগল যারা স্বাভাবিকভাবে অভিভাবক হচ্ছেন। তবে প্রথমে রূপান্তরিত হওয়ার পর বেশ কঠিন সময় অতিক্রম করলেও বর্তমানে তারা পাশে পেয়েছেন পরিবারের সদস্য ও কিছু বন্ধুদের। আর তাঁদের কৃতজ্ঞতা শেয়ার করে পোস্ট করেছেন ছবিও।
View this post on Instagram
বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে জিয়া লিখেছেন, তাঁদেরকে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু তারা কখনো হার মানেননি। নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখেছেন তারা। সন্তানের জন্মের আগেই তারা ঠিক করেছেন সন্তানের নাম। নিজেদের আসন্ন সন্তানের নাম রেখেছেন জীবন। বর্তমানে প্রায় আট মাস সম্পূর্ণ জাহাদের। আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। এরপরই কোল আলো করে জন্ম হবে জাহাদ ও জিয়ার শিশুর।