×

বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েছে এক বিশালাকার সোনালি কোবরা সাপ, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে এই দুষ্কর প্রজাতির সাপটি। আর যাকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই গোটা বাড়ি জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের।

সাপ হলো পৃথিবীর এমন একটি প্রাণী যাকে দেখে ভয় পায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। কোনো মানুষ নিজেকে যতই রাঘব বোয়াল মনে করুক না কেন যদি তাঁর সামনে সাপ এসে পরে তাহলে তাঁর মনে একটু হলেও ভীতির সঞ্চার হবেই। এই ছোট্ট প্রাণীটিকে যতই নিরীহ প্রাণীর তকমা দেওয়া হোক না কেন সাপ কখনো কাউকে বাগে পেলে ছোবল মারতে ছারেনা। যার কারনে আট থেকে আশি প্রতিটি মানুষ এর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেই পছন্দ করেন। সাধারণত শহরাঞ্চলে সাপেদের উপদ্রব চোখে না পরলেও গ্রামের দিকে প্রায়ই সাপ দেখা যায়।

বিশেষ করে প্রতিবছর বর্ষাকালে অর্থাৎ মে, জুন ও জুলাই মাসে সাপেদের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। এমনকি এই সময়ে সাপের দংশনের ফলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বহু জায়গায়। তাই এই প্রাণীটি থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেই পছন্দ করেন সকলে। তবে বাস্তবে সাপ দেখলে প্রতিটি মানুষ ভয় পেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন সাপেদের ভিডিওগুলি বেশ আনন্দের সহিত উপভোগ করেন প্রতিটি মানুষ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মাঝেই পশু-পাখিদের আচরণের বিভিন্ন রকম অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের ভিডিও প্রকাশ পায়। যেগুলো রীতিমতো সম্বিত করে প্রত্যেককে। আবার কখনো কখনো এই ভিডিওগুলো থেকে সৃষ্টি হয় আতঙ্কের। গোটা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ২,৯০০ রকমের সাপের প্রজাতি পাওয়া যায়। আর এদের বেশিরভাগই বিষধর প্রজাতির। যেগুলো নিমেষেই মেরে ফেলতে সক্ষম কোনো প্রাণীকে। আবার এই সাপের বিষই প্রতিবছর পাচার করা হয় বিদেশে। কারণ সাপেদের বিষ থেকে প্রস্তুত করা হয় বিভিন্ন রকম মাদক ও প্রাণদায়ী ওষুধ।

সম্প্রতি সেরকমই একটি হাড়হিম করা সাপের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি দুষ্কর প্রজাতির গোখরা সাপকে। এই সাপকে সাধারণত গোল্ডেন গোখরো নামে ডাকা হয়। সাধারণত ভারতের বেশিরভাগ জায়গায় কালো গোখরো চোখে পরলেও এধরনের গোল্ডেন গোখরো খুব কমই চোখে পরে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে এই দুষ্কর প্রজাতির সাপটি। আর যাকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই গোটা বাড়ি জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের। এরপর ডাক পাঠানো হয় এক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাপ ধরা ব্যক্তিকে। তিনি সেখানে এসে পৌঁছে একটি স্টিলের রডের সাহায্যে সাপটিকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসে। তবে সাপটি সহজে ধরা দিতে চাচ্ছিল না। কিন্তু ওই ব্যক্তিটিও নাছোড়বান্দা। বহু চেষ্টা করে তিনি শেষমেষ সাপটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন ও একটি প্যাকেটের মধ্যে সাপটিকে ভরে সেখান থেকে নিয়ে চলে যান।

Related Articles