আস্ত একটি ইঁদুরকে নিমেষের মধ্যে গিলে খেল বিষধর কোবরা সাপ, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও
একটি মাটির বাড়িতে ট্রাঙ্কের নিচে একটু গোপন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে বিষধর সাপটি।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিমেষেই গোটা পৃথিবীর সঙ্গে সাক্ষাত ঘটে যাচ্ছে সবার। কোথায় কখন কি ঘটছে সবকিছুই নিমেষে আমরা জেনে যেতে পারছি। এক একটা মজার মজার ভিডিও থেকে শুরু করে এক একটা গা শিউরে ওঠার মতো দৃশ্যও এখানে প্রতি মুহূর্তে ভাইরাল হচ্ছে। তবে এখানে মানুষের পাশাপাশি বেশি ভাইরাল হচ্ছে আকর্ষণীয় পশু-পাখিদের এক একটা গা হিমহিম করা ভিডিও।
যা দেখে মানুষ যেমন আঁতকে ওঠেন, তেমনি এই পশু-পাখিদেরই এক একটা নজরকাড়া ভিডিও আনন্দ দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। সমগ্র প্রাণীকুলের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক সাপ। সাপকে কে না ভয় পায়! বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার কাছেই সাপ মানেই একটি ভয়ঙ্কর প্রাণী। ছোবল খেলেই সে মানুষ সেখানেই মৃত। এতটাই মারাত্মক সাপের ছোবল। আজকাল প্রতিদিন হাজার হাজার সাপের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে মানুষের তাজ্জব হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তবে এখন সাপের ভিডিওর মধ্যে নানারকম সাপ ধরার ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লোকালয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে বিষধর সাপ। আজকাল বন, জঙ্গল কেটে দেওয়ার কারণে বিষধর প্রাণীদের লোকালয়ে দেখা মিলছে।
সম্প্রতি সাপ উদ্ধারকারী মির্জা আরিফ নামক একটি ইউটিউব (Youtube) চ্যানেল থেকে ঝড়ের বেগে ভাইরাল হল আবারও একটি সাংঘাতিক ভিডিও। ইনি একজন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার। সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাপ উদ্ধারকারী। তাই তাঁর উদ্ধার করা সব সাপের ভিডিওই ঝড়ের বেগে ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি মাটির বাড়িতে ট্রাঙ্কের নিচে একটু গোপন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে বিষধর সাপটি। মির্জা আরিফের কথায়, এই কোবরা সাপটি ভীষণই জেদালু এবং বিষধর। এরা মুলত খাবারের জন্যে মানুষের বাড়িতে ঢোকে। সেখানে যদি তাঁদের খাবার পছন্দ হয়, মাসের পর মাস রয়ে যাবে। সাপটির গায়ের বর্ণ হালকা হলুদ কালো। যথারীতি সাপটি দেখে সেই বাড়ির মানুষরা মির্জা আরিফকে খবর দেয়।
যিনি এসে অত্যন্ত সন্তপর্ণে সাপটিকে ক্রেনের সাহায্যে লুকোনো জায়গা থেকে বের করেন। যা দেখতে জড়ো হয়ে যায় সমস্ত গ্রামবাসী। সাপটিকে বাইরে বের করে অনেক কথা বললেন মির্জা। জানালেন এই সাপ অতটাও ভয়ঙ্কর। এই সাপের ছোবল খেলে মৃত্যু অনিবার্য। তাই তিনি সবাইকে তিনি সাবধান করেছেন। এরপর দেখা যায়, সাপটি বমি করে একটি গিলে ফেলা ইঁদুর বের করছে মুখ থেকে। এরপরেই তিনি একটি বস্তার মধ্যে সাপটিকে পুরে চলে গেলেন তাঁর গন্তব্যস্থলে।