চিড়িয়াখানায় গাড়িতে খাঁচা ভর্তি মানুষদের দেখছে একদল বাঘ, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও
ভিডিওটি বাংলাদেশের একটি চিড়িয়াখানায় তোলা।

চিড়িয়াখানা শব্দটির সঙ্গে বাচ্চা থেকে বুড়ো মোটামুটি সবাই পরিচিত। বিশেষ করে বাচ্চাদের এক আনন্দদায়ক ঠিকানা হল চিড়িয়াখানা। মুলত চিড়িয়াখানা হল, বিভিন্ন রকমের বিরল প্রজাতির পশু-পাখিদের সংরক্ষণ করে রাখা। যদিও বাঘ-সিংহ এহেন মাংসাশী পশুদের সবাই চেনে। কিন্তু লোকালয়ে এরা থাকে না। তাহলেই মানুষ একেবারে শেষ। যাই হোক, পশু-পাখিদের মধ্যে সুন্দর এবং ভয়ঙ্কর প্রাণীদের মধ্যে বাঘ অন্যতম। ভারতের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তবে বাঘ দেখতে হলে চিড়িয়াখানা বা গভীর জঙ্গলেরই সাহায্য নিতে হবে।
খোলামেলা জায়গায় বাঘ থাকলে মানুষ সেখানেই অজ্ঞান। তাই চিড়িয়াখানায় বাঘকে যেখানে সংরক্ষণ করা হয়, সেই জায়গা বাঁধানোই থাকে। সহজে মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের দেখা মেলে। চিড়িয়াখানায় গেলে সবার আগে বাঘকে দেখার জন্যই শিশুরা উৎফুল্ল হয়ে থাকে। হ্যাঁ, চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
বাচ্চারা তাঁদের স্কুলের বইয়ের মধ্যেই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কথা প্রথম জানতে পারে। আবার তাঁরা দুষ্টুমি করলেও বাঘের নাম করে বাচ্চাদের ভয় দেখানো বা তাঁদের খাওয়ানো এরকম উদাহরণও ভুরি ভুরি রয়েছে। মুলত বইয়ে বাঘের ছবির সঙ্গে বাস্তবে বাঘের কতটা মিল তা দেখাতে বা চেনাতে বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের চিড়িয়াখানা নিয়ে যায়।
চিড়িয়াখানায় বাচ্চারা বাঘের খাঁচার সামনে গিয়ে বাঘ দেখেই চিৎকার শুরু করে। তেমনি বাঘও বাচ্চাদের সঙ্গে সঙ্গে হুংকার দিয়ে উঠে। তবে বাঘ একটি হিংস্র প্রাণী হলেও তার মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও দেখা গিয়েছে যেখানে বাঘের মধ্যে বন্ধুত্ব সুলভ আচরণও নজরে এসেছে। যা দেখে সকলেই বাঘটির প্রশংসা করছে।