Bipasha Das: রানু মন্ডলের পর এবার বিপাশা দাস! অসাধারন গান গেয়ে সাফল্যের চূড়ায় বাঙালি চা-বিক্রেতা

রানু মন্ডল (Ranu Mandal) নামটার সঙ্গে পরিচিত গোটা ভারতবর্ষ। রানাঘাট স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে এক হতদরিদ্র ভিখারি মহিলা সুরেলা কন্ঠে গাইছেন এক পেয়ার কা নাগমা (Ek pyar Ka nagma)। অতীন্দ্র চক্রবর্তীর (Atindra chakraborty) ফেসবুক পেজে এই ভিডিও দেখে রানুর ডাক পড়েছিল মুম্বাইয়ে পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার (Himesh Reshmia)স্টুডিওতে। এবারেও চর্চার কেন্দ্রে অতীন্দ্র। বিপাশা দাস (Bipasha das) নামের এক চাওয়ালী গৃহবধূ তার সুমধুর কন্ঠে মাত করেছেন। সেই ভিডিও নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছেন অতীন্দ্র।
বিপাশা দাস ছেলেবেলা থেকেই অসাধারণ গানের গলা তার। পাড়ায় মাচায় গান গাইতেন। বাবার ছিলনা আর্থিক সামর্থ্য তাই মেয়েকে গান শেখাতে পারেননি। ছিলনা হারমোনিয়াম তবলা সেতারের মতো আধুনিক বাদ্যযন্ত্র। তবুও নিজের চেষ্টায় গলা ছেড়ে গাইতে ভালবাসতেন বিপাশা। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এক তবলাবাদক কে বিয়ে করেন বিপাশা। কিন্তু সেখানেও চরম অভাব। তবুও স্ত্রীর ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে নিজেই সঙ্গত দিতেন তবলা বাদক স্বামী। চাইতেন স্ত্রী একদিন নাম করুক সংগীতের দরবারে।
খরচ চালাতে রাস্তার পাশে একটি ছোট চায়ের দোকান দিয়েছিলেন বিপাশা ও তার স্বামী। সেখানেই গুনগুন করে গেয়ে উঠতেন লতা মঙ্গেশকরের (Lata mangeshkar)গান। সেই গান ভিডিও করেছেন অতীন্দ্র। ভিডিও করেই নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এমন সুমধুর গলা শুনে বিপাশার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেন।
বিপাশার ডাক পড়েছে স্টুডিওতে গান করতে। সংগীত পরিচালক জয়দীপ চক্রবর্তী (joydeep chakraborty) স্টুডিওতে গান গাওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন বিপাশা। সেখানেই হলুদ শাড়ি পড়ে, মুখে হাসি নিয়ে গান গাইতে দেখা গেছে তাকে।
তার এই সাফল্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন অতীন্দ্র কে। সঙ্গে বিপাশা চেয়েছেন কোন ভালো শিক্ষা গুরুর কাছ থেকে গানের তালিম নিতে। যাতে এই প্রতিভা বিনষ্ট না হয়। বিপাশার গান শুনে মুগ্ধ নেটিজেন। বিপাশার কাছ থেকে আরো নতুন নতুন গান শুনতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন তারা।