×

খুব কম খরছে মনের মানুষের সাথে ঘুরে আসুন কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে নতুন সমুদ্রতীরে

কাঁথি থেকে ট্রেনে করে খুব সহজেই বগুরান জলপাই যাওয়া যায়।

অনেক সময়েই নিয়মিত পরিশ্রমের মাঝে একটু বিশ্রামের দরকার হয়। এই প্রয়োজনীয় বিশ্রামের পরিমাণ অনেক সময় কয়েক ঘন্টার হয় না, কয়েক দিনের হয়ে যায়। সোজা কথায় একনাগাড়ে কাজ করার মাঝে মানসিক ক্লান্তি দূর করতে অনেক সময়েই নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর প্রয়োজন বোধ হয়। আপনিও যদি সামর্থ্যের মধ্যে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজছেন, তাহলে এই প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন। এই বিশেষ প্রতিবেদনে এমন একটি স্থানের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, যেটি মোটেই দীঘা বা মন্দারবনীর মতো অশান্ত এলাকা নয়, কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত এক শান্ত নিরিবিলি পরিবেশযুক্ত এলাকা।

এই প্রতিবেদনে আলোচনার বিষয়বস্তু বগুরান জলপাই (Baguran Jalpai) এলাকা। এই এলাকায় যেতে চাইলে প্রথমে বাসে করে কোন্টাই (Contai) যেতে হবে। তারপরে কোন্টাই থেকে টোটোয় চাপতে হবে। টোটো করে ১৫-২০ মিনিটের মতো গেলেই বগুরান জলপাই পৌঁছানো সম্ভব। আপনি ট্রেনে করে যেতে চাইলে রেলপথের ব্যবস্থা রয়েছে। কাঁথি থেকে ট্রেনে করে খুব সহজেই বগুরান জলপাই যাওয়া যায়।

দীঘা বা পুরীর সমুদ্র তট একটু উত্তাল প্রকৃতির হয়। কিন্তু বগুরান জলপাই এলাকার সমুদ্র তটে আছে স্থিরতা। যা আপনার মনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। এই সমুদ্র তটে ঘন ঝাউবন ও লাল কাঁকড়া দেখতে পাওয়া যায়।

এই এলাকার একটু বাইরে বেরোলেই রয়েছে বাঁকিপুট ও জুনপুট। আপনি সাহিত্যপ্রেমী হলে পাশেই অবস্থিত সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দির আপনাকে আকর্ষিত করতে পারে। এছাড়াও, দরিয়াপুর লাইটহাউসও রয়েছে এই এলাকায়। এই লাইটহাউস অনেকেরই প্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।

কোথায় থাকবেন?
এই এলাকায় সাগর নিরালা নামের একটি রিসর্ট রয়েছে। এই রিসর্টের অধীনে কটেজ বা ঘরে থাকতে পারেন। মাত্র দুই মিনিটের দূরত্বে রিসর্ট ও সমুদ্রতট অবস্থিত।

Related Articles