নিজের দুর্দান্ত আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে ২০০ কোটির সম্রাজ্য দাঁড় করিয়েছেন লন্ডন ফেরত ব্যক্তি, রইল বিস্তারিত

খারাপ সময়েও হাল ছেড়ে দেওয়ার মেধা থাকলে সামান্য আবর্জনা দিয়েও প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। কি শুনতে অবাক লাগছে তাই তো! কিন্তু এটাই ঠিক। এমনই একটি কাজ করেছেন গুজরাটের বাসিন্দা সন্দীপ ভাই প্যাটেল। তিনি শুধুমাত্র বর্জ্য পদার্থ দিয়ে ২০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টায় অনেক বর্জ্য বাছাইকারীদের জীবনও কেবল সুন্দর হয়ে গিয়েছে। আর সন্দীপ ভাই প্যাটেলের সংস্থা ‘নেপ্রো রিসোর্সেস’ আজকের দিনে ভারতের বৃহত্তম ডিজিটাল শুষ্ক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গুলির মধ্যে অন্যতম।
নেপ্রো রিসোর্সের প্রতিদিন প্রায় ৫৬০ টন শুকনো বর্জ্য সংগ্রহ করে। এমনকী জানা যায়, সিঙ্গাপুরের সার্কুলেট ক্যাপিটাল সন্দীপ ভাই প্যাটেলের কোম্পানি নেপ্রো রিসোর্সে প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল। এছাড়া এই কোম্পানিটি এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২৩৫ কোটি টাকারও বেশি সংগ্রহ করেছে। সন্দীপ ভাই প্যাটেল নিজেও লন্ডন থেকে এমবিএ পাশ করেছেন, তার পরেই তিনি এই ব্যবসা শুরু করেন। লন্ডন থেকে পড়াশোনা শেষ করে ভারতে ফিরে আসেন তিনি। কলেজে পড়ার সময় থেকেই তাঁর ব্যবসার প্রতি প্রচণ্ড পরিমাণে আগ্রহ ছিল।
এমনকী তাঁর তাঁর অনেক বন্ধু সফল ব্যবসায়ী সেখান থেকেই তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ব্যবসা করার জন্যে। যদিও এই ব্যবসার আগে তিনি আইটি-বিপিও, ট্রাভেল এবং কেমিক্যালের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেখানে থেকেই এই শুষ্ক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা খুঁজে পান তিনি। তবে এই ব্যবসা শুরুর পরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে, প্রথমদিকে অনেকেই অনেকেই সন্দীপ কে নিয়ে মজা করতেন, সবাই বলতেন লন্ডন থেকে এমবিএ পাশ করার পর শেষ পর্যন্ত আবর্জনা তুলছেন। মাত্র ৭ জন মানুষকে নিয়ে তিনি এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এবং প্রথমে তাঁর ব্যবসা অনেক লেকসানের মুখে পড়েছিল। এরপর সন্দীপ ভাই তাঁর ব্যবসার জন্যে বিনিয়োগকারীদের খুঁজতে শুরু করেন।
সেই সময়ে দেশে প্রায় ৯০ জন ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট ছিলেন। তার মধ্যে মাত্র ৭০ জন বিনিয়োগকারী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, এবং ৬৮ জন তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এর পরেই ২০১৩ সালে সন্দীপভাই প্রথম ৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ পান। তবে এখানেই শেষ নয়, একবার সন্দীপভাই এর প্ল্যান্টে আগুন লেগে যায়। কিন্তু তবুও তিনি হাল ছাড়েন নি তাইতো তিনি আজ প্রায় ২০০ কোটি টাকার মালিক। বর্তমানে আহমেদবাদে আঠারো শো টির বেশি বর্জ্য বাছাই কোম্পানী সন্দীপ ভাই প্যাটেল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেন।