×

দেশে থেকে পান বিদেশের স্বাদ, স্বল্প খরচে ঘুরে আসুন ভারতের মিনি মালদ্বীপে, রইল বিস্তারিত

বিদেশ ঘোরার ইচ্ছে কমবেশি সকলের মধ্যেই থাকে। মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে হানিমুন বলা যেতে পারে একেকজনের স্বপ্ন।

বিদেশ ঘোরার ইচ্ছে কমবেশি সকলের মধ্যেই থাকে। মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে হানিমুন বলা যেতে পারে একেকজনের স্বপ্ন। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও বিদেশে ঘোরার খরচ কুলানোর সাধ্য থাকে না অনেকেরই। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে দেশে এত সুন্দর সুন্দর জায়গা থাকতে বিদেশী যাবেন বা কেন? এর উত্তর হতে পারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, খোলামেলা জীবন, রোম্যান্টিক অনুভূতি, আধুনিক সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি উপভোগের কারণে মালদ্বীপের মতো স্থানে যাওয়া। তার উপর ফটো সেশন তো আছেই। যারা এইসব ভাবছেন তাদের জন্য বলে রাখি এগুলোর জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, দেশের মাটিতেই এগুলো করা সম্ভব। আমাদের দেশে এমন এমন কিছু হানিমুন স্পট রয়েছে যেগুলোর সৌন্দর্য বিদেশের মালদ্বীপের মত জায়গাকে বলে বলে গোল দিতে পারে। এইসব স্থানে বিদেশের তুলনায় যাওয়ার খরচও হবে অনেকটাই কম। আসুন দেখে নিন এই ধরনের কয়েকটি হানিমুন ডেস্টিনেশন।

১: কোচির কাছে মিনি মালদ্বীপ, কেরল:- আমাদের দেশে কেরলে একটি ‘মিনি মালদ্বীপ’ রয়েছে যা সম্বন্ধে জানেনা অনেকেই। এখানে ভারতের প্রথম ভাসমান রিসোর্ট খোলা হয়েছে। কোচির কাছে কুম্বলাঙ্গির দ্বীপ গ্রামে রয়েছে এটি। জলসার পাশে এই ভাসমান রিসোর্টে থাকার সময় আপনার মালদ্বীপের মতো অনুভূতি আসবে। কোচির পাশে ব্যাকওয়াটারের মিনি মালদ্বীপের এই দৃশ্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এটি এশিয়ার প্রথম পরিবেশ-বান্ধব আন্ডারওয়াটার রিসোর্টই নয়, ভারতেরও প্রথম আন্ডারওয়াটার রিসোর্ট। এই রিসোর্ট বিলাসবহুল ডিজাইনের কক্ষ সহ পাঁচটি ভাসমান ভবন নিয়ে গঠিত। এই রিসোর্টে এক রাত থাকার খরচ ৫ হাজার টাকা। তবে সিজেন অনুযায়ী দাম বাড়তে বা কমতে পারে। তবে বলে রাখি মালদ্বীপের তুলনায় এই খরচ অনেকটাই কম।

কিভাবে পৌছাবেন মিনি মালদ্বীপ:- কোচি বিমানবন্দর থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে দেড় ঘন্টা সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবেন মিনিমালদ্বীপের রিসোর্ট।

২: তেহরি, উত্তরাখণ্ডের মিনি মালদ্বীপ:- মালদ্বীপের রঙিন ভাসমান কুঁড়েঘরের ছবি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় কমবেশি সকলেই দেখেছি। এরকম ঘর আমাদের দেশেও রয়েছে এবং তা একেবারে খাঁটি দেশি কুঁড়েঘর। এটা রয়েছে উত্তরাখণ্ডের তেহরির লে রোই রিসর্টে। এটিকেও দেশের অন্যতম ‘মিনি মালদ্বীপ’ বলা হয়ে থাকে। হিমালয় পর্বতমালা দ্বারা বেষ্টিত এই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,৫০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। তেহরি লেকের উপর তৈরি করা হয়েছে এই রিসোর্ট টি। এই রিসর্টে রয়েছে অসাধারণ নকশার ২০টি কক্ষ। এছাড়া এখানে ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, প্লেয়িং কার্ড, ইউনো, লুডো, কায়াকিং বোট রাইডের মতো ইনডোর এবং আউটডোর গেমস্ রয়েছে। তেহরি লেকের উপর তৈরি এই রিসোর্টের নিরিবিলি পরিবেশ, মনোরম আবহাওয়া এবং হ্রদের কাছে কুঁড়েঘরে থাকার অভিজ্ঞতা পর্যটককে মালদ্বীপের অনুভূতি দেবে।

কিভাবে পৌঁছবেন তেহরি উত্তরাখণ্ডের মিনি মালদ্বীপে:- দেরাদুন বিমানবন্দর থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত তেহরি লেকের রিসোর্ট।

৩: হ্যাভলক, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মিনি মালদ্বীপ:- কেউ যদি স্বল্প বাজেটে মালদ্বীপে ছুটি কাটানোর মতো অনুভূতি পেতে চান তাহলে তাদের জন্য একেবারে উপযুক্ত জায়গা হল আন্দামানের হ্যাভলক আইল্যান্ড। হ্যাভলক আইল্যান্ডের সমুদ্রের চোখ ধাঁধানো সুন্দর দৃশ্য আপনার মনকে শান্তি দেবে। এখানে প্রচুর হোটেল এবং রিসোর্ট রয়েছে। তবে তার মধ্যে অন্যতম হলো সিলভার স্ট্যান্ড বিচ রিসোর্ট। হ্যাভলকের অন্যতম সেরা রিসোর্ট হিসেবে এটি বিবেচিত। এই রিসোর্ট ৩৯টি লেগুন-মুখী ভিলা, কটেজ এবং স্যুটের পাশাপাশি এর অনবদ্য পরিষেবার জন্য বিখ্যাত।

কিভাবে পৌঁছবেন আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের হ্যাভলক আইল্যান্ড:- পোর্ট ব্লেয়ার বিমানবন্দর থেকে ক্রুজে করে পৌঁছে যাবেন সোজা হ্যাভলক আইল্যান্ড।

৪: নীল, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মিনি মালদ্বীপ:- আন্দামান ওয নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের নীল আইল্যান্ড আপনাকে মালদ্বীপের মত অনুভূতি দেবে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ হানিমুন কাপলদের একেবারে মুগ্ধ করে তুলবে। মালদ্বীপ যেমন এখন হানিমুন পরিণত হয়েছে ঠিক তেমনি নীল দ্বীপ স্বল্প বাজেটে একেবারে উপযুক্ত হানিমুন ডেস্টিনেশন। নীল দ্বীপে স্কুবা ড্রাইভিং করার অভিজ্ঞতা নিতে পারেন পর্যটকরা। এছাড়া এখানে বাইক ভাড়া পাওয়া যায়। আপনি ইচ্ছামত আপনার সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে করে আশেপাশে ঘুরে আসতে পারবেন। নীল দ্বীপের সমুদ্র সৈকতের একেবারে সামনেই রয়েছে সামার স্যান্ডস বিচ রিসর্ট। এই রিসর্টটিতে ৬২টি বিলাসবহুল রুম এবং স্যুট সহ একটি প্রশস্ত সুইমিং পুল এবং একটি স্পা রয়েছে।

কিভাবে পৌঁছবেন আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নীল আইল্যান্ড:- পোর্ট ব্লেয়ার বিমানবন্দর থেকে ক্রুজে করে পৌঁছে যাবেন সোজা নীল আইল্যান্ড।

Related Articles