×

দীঘা কিংবা পুরী নয়, স্বল্প খরচে কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ঘুরে আসুন এই নতুন সি-বিচ

এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হচ্ছে 'বাগদা সি বিচ' (Bagda Sea Beach)-কে নিয়ে। এই সি বিচটি ওড়িশার বালাশোরে অবস্থিত।

কাজের ক্লান্তি দূরে রেখে কোথাও পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে? চলে যেতে ইচ্ছে করছে কোনো নিরিবিলি এলাকায়? জনবহুল এলাকা থেকে দূরে, সমস্ত দুশ্চিন্তা থেকে দূরে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আপনার যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, দেরি না করে পৌঁছে যান ভারতের এক সি বিচে। উক্ত সি বিচে গেলে নিজের মতো করে কয়েকটা দিন শান্তিতে কাটিয়ে আসতে পারবেন। বিস্তারে জানতে পড়ে ফেলুন পুরো প্রতিবেদন।

এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হচ্ছে ‘বাগদা সি বিচ’ (Bagda Sea Beach)-কে নিয়ে। এই সি বিচটি ওড়িশার বালাশোরে অবস্থিত। এই এলাকা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তেমন পরিচিত নয়। তাই, এই স্থানের নাম তেমনভাবে সবাই চেনেন না। এই কারণে এই এলাকায় সাধারণ মানুষজনের যাতায়াতও বেশি নেই। এই অর্থে এই ‘ভার্জিন সি বিচ’ নামেও পরিচিত।

এই এলাকায় পর্যটকের তেমন সমাগম নেই। তাই, তেমন চাহিদা সৃষ্টি না হওয়ায় এই এলাকায় বিলাসবহুল হোটেল এখনও তৈরি হয়নি। তবে আপনি এক্ষেত্রে নিজের মতো করে থাকার ব্যবস্থা অবশ্যই করতে পারেন। ঝাউ গাছের নিচে তাঁবু খাটিয়ে বেশ ভালোভাবেই এই এলাকায় থাকতে পারেন। বাগদা সি বিচে বোটে করে ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে। আর তাই, এক্ষেত্রে এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, এই সমুদ্র উপকূলে দীঘা বা পুরীর মতো লাল কাঁকড়া সহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী দেখার সুযোগ পাবেন। এই এলাকা জনবহুল নয়। ফলস্বরূপ, ফাঁকা সমুদ্র তীরে আপনি সমুদ্র স্নানের এক দারুণ অভিজ্ঞতা আহরণ করার সুযোগ পাবেন। দীঘা বা পুরীর প্রতি আপনি একঘেয়েমি অনুভব করে থাকলে এবং জনবহুল এলাকা থেকে দূরের কোনো এলাকা খুঁজে থাকলে ‘বাগদা সি বিচ’ এক আদর্শ বিকল্প।

যাবেন কীভাবে?
এই এলাকায় যাওয়ার জন্য আপনাকে হাওড়া থেকে বা সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেন ধরতে হবে। সেই ট্রেনে চড়ে আপনাকে পৌঁছাতে হবে বালাসরে। বালাসরে পৌঁছে অটো বা অন্য যে কোনো যানবাহনে চড়ে আপনাকে বাগদার জন্য রওনা দিতে হবে। এরপরেই আপনি পৌঁছে যাবেন বাগদা সি বিচে।

Related Articles