×

হঠাৎ ৫ টাকার এই কয়েন কেন বন্ধ করে দেয় RBI? ৯৯% মানুষ বলতে পারবেন না

৯০ দশক থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যে ভারতীয় মুদ্রায় বহুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে

৯০ দশক থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যে ভারতীয় মুদ্রায় বহুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। যদিও তার আগেও ভারতীয় মুদ্রা ছিল অন্যরকম এবং আগামী দিনেও ভারতীয় মুদ্রায় আরো পরিবর্তন আসবে সেটাই স্বাভাবিক। একসময় গোটা দেশজুড়ে ৫ টাকার পুরনো মোটা কয়েনের ব্যবহার দেখা গিয়েছে। এমনকি কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেখা এই ৫ টাকার কয়েনের। কিন্তু এখন এই কয়েন একেবারে আর চোখে পড়ে না বললেই চলে। হঠাৎই বাজার থেকে একেবারে উধাও হয়ে গিয়েছে ৫ টাকার সেই পুরনো মোটা কয়েন। যদিও এই কয়েন উধাও করে দেওয়ার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে।

জানা যায় মূলত অসাধু কিছু ব্যক্তি এই ৫ টাকার কয়েনের অপব্যবহার শুরু করে। এই বিষয়টি নজরে আসতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পাঁচ টাকার সেই পুরনো মোটা কয়েনটিকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে যে কি এমন ঘটেছিল যার কারণে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হল ৫ টাকার কয়েন? সেই কারণেই বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে আজকের এই প্রতিবেদনে।

উল্লেখ্য, আগেকার পুরনো ৫ টাকার কয়েনগুলি বেশ মোটা হওয়ার কারণে সেগুলি তৈরি করতে অনেকটাই ধাতু ব্যবহার করা হতো। ওই কয়েনগুলিকে বলা হত Cupro-Nickle সার্কুলার কয়েন। এক একটি কয়েনের ওজন ছিল আনুমানিক ৯ গ্রাম। যে ধাতু দিয়ে কয়েনগুলি তৈরি করা হতো সেই ধাতু দিয়ে শেভ করার জন্য যে ধারালো ব্লেড ব্যবহার করা হয় সেই ব্লেড তৈরি করা যায়। কিছু অসাধু ব্যক্তি এই বিষয়টি জেনে কয়েন গুলোকে ভুল ভাবে ব্যবহার করতে শুরু করে। ১ টি কয়েন থেকে ছটা শেভিং ব্লেড তৈরি করা সম্ভব। আর এক একটি ব্লেড বিক্রি হতো ২ টাকা করে।

এছাড়া ৫ টাকার কয়েনকে অবৈধভাবে বাইরে পাচার করা হতো। ওই কয়েনগুলিতে ধাতব সামগ্রী বেশি থাকার কারণে সেগুলোকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। বাংলাদেশেই ওই কয়েনগুলো গলিয়ে সেই ধাতু দিয়ে ব্লেড তৈরি করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় যখন বাজার থেকে এই কয়েনের সংখ্যা কমতে থাকে তখন সরকার এই কয়েন পাচারের বিষয়ে অবগত হয় এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে ৫ টাকার কয়েন একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নতুন পাঁচ টাকার কয়েন চালু করে, যেগুলো আগের ৫ টাকার কয়েনগুলিকে থেকে অনেকটাই পাতলা।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, যেকোনো কয়েনের মূল্য সারফেস ভ্যালু এবং মেটাল ভ্যালুর মাধ্যমে দু’টি উপায়ে মূল্যায়ন করা হয়। কোন কয়েনের মেটাল ভ্যালু হল মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত ধাতুর মূল্য। পুরনো ৫ টাকার কয়েনে মেটাল ভ্যালু সারফেস ভ্যালুর তুলনায় বেশি থাকার কারণে কিছু অসাধু ব্যক্তি সেই সুবিধা নেয়।

Related Articles