×

বাড়িতে তুলসী গাছ রাখলেই হবে এই সমস্যাগুলির সমাধান, রইল বিস্তারিত

প্রায় প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে আর কোনো গাছ থাকুক বা না থাকুক তুলসী গাছ থাকবেই থাকবে।

প্রায় প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে আর কোনো গাছ থাকুক বা না থাকুক তুলসী গাছ থাকবেই থাকবে। স্নানের পর তুলসী গাছে জল ঢালা থেকে শুরু করে সন্ধ্যেবেলা তুলসী তলায় সন্ধ্যেবাতী দেখানো একটি বহু পুরনো রীতি। আর এই পুরোনো রীতিটি আজও চলে আসছে বহু বছর আগে থেকে। এক কথায় তুলসী গাছকে মা হিসেবে শ্রদ্ধা ও পুজো করা হয়। তবে এছাড়াও তুলসী গাছের বহু উপকারী গুণ রয়েছে। সর্দি ও কাশি কমানোর জন্য তুলসী গাছের পাতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি ত্বক পরিচর্চার ক্ষেত্রেও তুলসী পাতা ভীষণভাবে উপকারী।

এছাড়াও বাস্তুশাস্ত্র মতেও তুলসী গাছকে অত্যন্ত শুভ একটি গাছ বলে মনে করা হয়। তুলসী গাছ বাড়িতে থাকলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। ‌তবে যে কোনো জায়গায় তুলসী গাছ লাগানো একদমই উচিত নয়। বিভিন্ন বাস্তুবিদদের মতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে তুলসী গাছ লাগানো উচিত। যার প্রভাবে নানারকম পারিবারিক সমস্যা থেকে শুরু করে পারিবারিক অশান্তি ও ব্যক্তিগত সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন হবে। বাড়িতে প্রবেশ করবে সুখ ও সমৃদ্ধি।

তবে তুলসী গাছ লাগানোর পাশাপাশি এর সঠিক পরিচর্যাও করাঝ অতি অবশ্যিক। নিয়ম মেনে সঠিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় তুলসী গাছ লাগানো উচিত। নয়তো এর প্রভাব বিপরীত হতে পারে। নোংরা অপরিচ্ছন্ন জায়গায় তুলসী গাছ লাগালে সংসারে ধেয়ে আসতে পারে নানারকম বিপদ। পাশাপাশি স্নানের পর নিয়মিত তুলসী গাছে জল দেওয়া উচিত।

পুরোনো আর্থিক সমস্যা দূর করতে তুলসী গাছ ছাড়াও বাড়িতে গাদাফুল, অপরাজিতা ও লিলি ফুলের গাছ লাগাতে পারেন। এতে পারিবারিক শান্তি ফিরে আসার পাশাপাশি বিভিন্নরকম অর্থনৈতিক সমস্যাও দূর হয়। তবে অবশ্যই বাস্তু মেনে এই গাছগুলোকে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রোপন করতে হবে। নয়তো সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্নরকম আর্থিক সমস্যার।

বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত প্রতিবেদনটি বাস্তুবিদদের পরামর্শের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এর কোনোরকম বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ব্যাক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।

Related Articles