এইভাবে পনির রান্না করলে স্বাদ হবে দুর্দান্ত, রুটি বা লুচির সাথে জাস্ট জমে যাবে

প্রতিদিন একঘেয়ে মাছ ও মাংস খেতে খেতে ভালো লাগে না অনেকেরই। ফলে মাঝে মাঝে মন চায় একটু সুস্বাদু নিরামিষ খাবার খেতে। তাছাড়াও বেশিরভাগ বাড়িতেই সপ্তাহের অন্তত একটি দিন নিরামিষ খাবার খাওয়ার চল রয়েছে। এমনকি বাড়িতে কোনো পুজো হলে তখন তো নিরামিষ ছাড়া আর কোনো রান্নাই হয় না। আর নিরামিষ মানেই যার কথা প্রথমে আসে তা হল পনির। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে রইল সুস্বাদু নিরামিষ পনিরের একটি রেসিপি সম্পর্কে। যার নাম ‘পনির মহারানি’। আসুন তবে জেনে নিন এই রেসিপিটি সম্পর্কে।

উপকরণ-

১. পনির
২. কাজু
৩. দুধ
৪. গরম মসলা গুঁড়ো
৫. হলুদ গুঁড়ো
৬. শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো
৭. কাঁচালঙ্কা বাটা
৮. টমেটো বাটা
৯. টক দই
১০. বেসন
১১. হিং
১২. সর্ষের তেল
১৩. চিনি
১৪. নুন
১৫. আদা বাটা
১৬. গোটা জিরে
১৭. গোটা ধনে
১৮. কসুরি মেথি
১৯. গোটা মৌরি

প্রণালী-
প্রথমে প্রয়োজন অনুযায়ী পনির নিয়ে তা টুকরো টুকরো করে কেটে তাতে সামান্য পরিমাণ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মসলা গুঁড়ো ও সামান্য পরিমাণ নুন মাখিয়ে নিতে হবে।

এরপর তাতে দু চামচ টক দই দিয়ে আবারো ভালোমতো মাখিয়ে নিতে হবে। তারপর ম্যারিনেট করা পনিরের টুকরোগুলো বেসনের মধ্যে কোটিং করে গরম তেলে ভালোমতো ভেজে তুলে নিতে হবে। এবার পনিরের মসলা তৈরি করার জন্য জিরে, কসুরি মেথি, গোটা ধনে ও মৌরি হালকা ভেঁজে ভালোমতো গুঁড়ো করে নিতে হবে।

এখন পনির ভাজা সেই তেলের মধ্যে আরও কিছুটা তেল দিয়ে তাতে হিং ও গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে তার মধ্যে টমেটো বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা ও আদা বাটা দিয়ে দিতে হবে। এবার একটু নাড়াচাড়া করে তাতে আগে থেকে বেটে রাখা কাজুবাদাম ও সামান্য পরিমাণ কাঁচা দুধ ঢেলে দিতে হবে। সমস্ত উপকরণ দেওয়ার পর কিছুক্ষণ ফুটিয়ে তাতে আগে থেকে তৈরি করে রাখা ভাজা মশলা দিয়ে দিতে হবে। মসলা দেওয়ার পর কিছুক্ষণ ভালো মতো কষিয়ে তাতে স্বাদমতো নুন, চিনি ও জল দিয়ে দিতে হবে।

জল দেবার পর গ্ৰেভি কিছুটা ফুটে গেলে তার মধ্যে আগে থেকে ভেঁজে রাখা পনিরের টুকরাগুলো দিয়ে দিতে হবে। পনিরের টুকরোগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে তাতে গরম মসলা ও ভাজা মসলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে। বেশ তাহলেই তৈরি সুস্বাদু ‘পনির মহারানি’।‌ যা নিরামিষের দিনে ভাত অথবা রুটি সাথে খাওয়ার জন্য একেবারে পারফেক্ট রেসিপি।