ঠাকুমার স্টাইলে বাঁধাকপি রান্না করলে স্বাদ হবে দুর্দান্ত, এক থালা ভাত নিমেষে হবে সাফ
ঠাকুমার স্টাইলে রান্না করুন বাঁধাকপি স্বাদ হবে অসাধারণ।

রাজ্যে জমিয়ে পড়েছে শীতকাল। আর শীতকাল মানেই বাজার ভর্তি সবুজ শাক-সবজি। ফুলকপি, বাধাকপি, মটরশুঁটি, গাজর, মুলো, পালং শাক, সিম ইত্যাদি সব্জির চাহিদা আকাশছোঁয়া। যা দিয়ে বাড়িতে তৈরি করা যায় এক একটি লোভনীয় স্বাদের রেসিপি, যা হার মানায় মাংস, মাছের বিভিন্ন রেসিপিকে।
শীতকালে সবজির মধ্যে বাধাকপি অন্যতম জনপ্রিয় সব্জি। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বক ও চুলের যত্নে বেশ উপকারী। শীতকালে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই বাধাকপির বিভিন্ন তরকারি তৈরি করা হয়। ভিটামিন সি ও অন্যান্য নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই সব্জির যেকোনো তরকারি খেতে কমবেশি সকলেই পছন্দ করেন। আজ জানাবো পুরোনো দিনের এক ঠাকুরমার স্টাইলে ‘বাঁধাকপি রসা’ রান্নার রেসিপি। যা শীতের দুপুরে (Lunch) গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে একেবারে জমে যাবে।
উপকরণ
- বাঁধাকপি
- পোস্ত ও চারমগজ
- আদা কাঁচালঙ্কা বাটা
- জিরা বাটা
- গরম মসলা গুঁড়ো
- টক দই
- আতপ চাল বাটা
- বেসন
- কালো জিরে
- সাদা তেল
- পরিমাণ মতো নুন ও চিনি
- তেজপাতা
- হলুদ গুঁড়ো
- লঙ্কাগুঁড়ো
- গোটা কাঁচালঙ্কা
প্রণালী
প্রথমে বাঁধাকপিটাকে কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে জল গরম করে বাঁধাকপিটিকে ভাপিয়ে নিতে হবে।এরপর পোস্ত ও চারমগজ একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। এরপর আতপ চাল আধঘন্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নিতে হবে।
এরপর একটি পাত্রে বাঁধাকপিটা ভালো করে জল ঝরিয়ে শুকনো করে তার মধ্যে নুন, হলুদ, চিনি, আদা এবং কাঁচালঙ্কা বাটা, চালবাটা, পরিমাণ মতো বেসন ও কালোজিরে মিশিয়ে শুকনো করে মেখে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে এগুলি বড়ার আকারে লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
এরপর ওই তেলে তেজপাতা, গোটা জিরে, লবঙ্গ, জিরে বাটা, আদা বাটা, গোটা কাঁচালঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, স্বাদমতো নুন ও চিনি দিয়ে কষিয়ে টক দই নিয়ে ফেটিয়ে দিয়ে দিতে হবে। এরপর, পোস্ত বাটা দিয়ে আরও ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে।
এরপর পরিমাণ মতো জল ও বাঁধাকপির বড়াগুলি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলেই তৈরি বাঁধাকপির অসাধারণ স্বাদের এই রেসিপিটি। এরপর নামানোর আগে গরম মশলা গুঁড়ো ও ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।