ময়দা মাখার সময় দিয়ে দিন এই সিক্রেট জিনিসটি, পরোটা হবে নরম তুলতুলে, নাম করবে বাড়ির সকলে
পরোটাকে নরম ও আরো সুস্বাদু করে তুলবেন কীভাবে? রইল বিশেষ টিপস।

মোটামুটি সব বাঙালি পরিবারেই ব্রেকফাস্ট বা টিফিনের জন্যে প্রথম পছন্দ হয়ে থাকে লুচি কিংবা পরোটা এবং আলুর তরকারি। যুগ যুগ ধরেই যেন এই প্রথা চলে আসছে। টিফিনের জন্যে লুচি বা পরোটার থেকে আর ভালো কোনো ব্রেকফাস্ট বোধহয় আর নেই। বলা যায়, লুচি বা পরোটা প্রতি বাঙালিদের আলাদাই আবেগ। জলখাবার হিসেবে বা টিফিনের জন্যেও ভালো প্রথম পছন্দ লুচি বা পরোটার। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয় এই খাবারের চল রয়েছে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও।
যেমন- ওড়িশা, ত্রিপুরা, আসাম, বিহার প্রভৃতি রাজ্যেও লুচি বা পরোটা বেশ জনপ্রিয়। তবে পরোটা (Parota) এক অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। এছাড়াও অনেকের বাড়িতে রাতের খাবার হিসেবেও রুটির বদলে পরোটা খাওয়া হয় মাঝেসাঝে। তবে প্লেন পরোটা ছাড়াও ডিম- পরোটা বা আলু পরোটা বা সবজি দেওয়া পরোটা বানানো হয় জলখাবারে। কিন্তু যেভাবেই পরোটা বানানো যাক না কেন, অনেকের কাছেই ভালো নরম পরোটা বানানোর পদ্ধতি জানানো নেই। সেই কারণেই আজকের প্রতিবেদনে দেওয়া হল নরম পরোটা বানানোর কয়েকটি সহজ টিপস:
পরোটার জন্যে বরাদ্দ আটা বা ময়দা খানিকক্ষণ ভালো করে চেলে নিতে হবে। এরপর ময়দা মাখার জন্যে সাধারণ জলের পরিবর্তে উষ্ণ গরম জল বা ঈষদুষ্ণ দুধ মেশালে সেক্ষেত্রে ময়দার ডো নরম হবে। এছাড়া পরোটা নরম করার জন্য খানিকটা ঘি বা মাখন সামান্য গরম করেও নিতে পারেন। এমনকি বাটার মিল্ক দিলেও পরোটা নরম হবে।
এছাড়াও নরম পরোটা তৈরি করার জন্য ময়দা মাখার সময় সামান্য বেকিং সোডা দেওয়া যেতে পারে। বা জলের বদলে টকদই দিয়ে ময়দা মাখলেও পরোটা নরম হবে। এছাড়া সাধারণ জলের পরিবর্তে ছানার জল দিলেও সেই ময়দার পরোটা নরম হবে।
এরপর ময়দা মাখা হয়ে গেলে ময়দার ডো-টি ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ডো তৈরির পর সামান্য তেল দিয়েও ময়দা মাখলে সেই পরোটা নরম হবে। ডো যত ভালো করে সময় নিয়ে মাখা হবে পরোটা ততই নরম হবে। এরপর শেষ ধাপ অর্থাৎ পরোটা ভাজার সময় একটি একটি করে ফ্রাইং প্যানে দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। একসঙ্গে একাধিক পরোটা ভাজলে চলবে না। এরপর পরোটা ভাজা হয়ে গেলে এয়ার টাইট টিফিন কৌটোয় ভরে রাখলে পরোটা নরম হবে।