×

এইভাবে ‘জিরা আলু’ বানালে স্বাদ হবে দুর্দান্ত, রুটি বা লুচির সাথে জাস্ট জমে যাবে

তৈরি করে নিন চটপটে স্বাদের জিরা আলু।

দুপুরের লাঞ্চটা যতই জোরদার হোক না কেন সন্ধ্যে হতে না হতেই প্রত্যেকের একটু হালকা খিদে পায়। আর এই হালকা খিদেকে দমন করতে প্রয়োজন হয় একটু সুস্বাদু মুচমুচে মুখরোচকের। তবে সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা খাটাখাটনির পর কার আর রান্নাঘরে ঢুকতে ইচ্ছে করে বলুন? তাই আসুন বানিয়ে ফেলা যাক অতি সহজ ও ঝটপট তৈরি করা যায় এমন একটি জলখাবারের রেসিপি। আজকের এই প্রতিবেদনে সেই রেসিপি সম্পর্কেই আলোচনা করবো। এই সুস্বাদু রেসিপিটির নাম জিরা আলু। যা সন্ধ্যেবেলা লুচি অথবা পরোটার সাথে খেলে পুরো সন্ধ্যেটা জমে যাবে।

জিরা আলু বানানোর জন্য প্রথমে উপকরণ হিসেবে নিতে হবে-

১. আলু
২. গোটা জিরে
৩. গোটা ধনে
৪. সাদা তেল
৫. বিটনুন
৬. নুন
৭. হিং
৮. ঘী
৯. আমচুর পাউডার
১০. গোলমরিচ গুঁড়ো
১১. ধনেপাতা কুচি
১২. কসুরি মেথি
১৩. ধনেপাতা কুচি
১৪. লঙ্কা কুচি
১৫. কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো

প্রণালী-

প্রথমে প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকটি আলু সেদ্ধ করে সেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ করা আলুগুলো ঠান্ডা হওয়ার জন্য আলাদা করে রেখে দিন। তবে আলু গুলোকে সেদ্ধ করার সময় খেয়াল রাখবেন এগুলো যাতে ভেঙে না যায় অথচ সেদ্ধ হয়ে আসে। এখন সেদ্ধ করা আলু গুলোকে ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। এবার গ্যাস একটি কড়াই গরম করে তাতে দেড় চামচ গোটা জিরে, গোটা ধনে ও ২ টো শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো ভালোমতো ড্রাই রোস্ট করে নিন। তারপর ড্রাই রোস্ট করা মসলা ঠান্ডা করে ভালোমতো গুঁড়ো করে নিন।

এখন কড়াইতে ১ চামচ সাদা তেলের সাথে সামান্য পরিমাণ ঘি মিশিয়ে গরম করে নিন। তারপর তাতে ১ চামচ গোটা জিরে ও সামান্য পরিমাণ হিং ফোড়ন দিয়ে ২ টো কুচোনো কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন। তারপর সমস্ত উপকরণ ভালো মতো নাড়াচাড়া করে তার মধ্যে কেটে রাখা সেদ্ধ আলু দিয়ে দিন। এবার আলুর সাথে স্বাদমতো নুন মিশিয়ে লালচে করে ভেজে নিন। আলু ভাজা হয়ে এলে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো ও ১ চামচ কসুরি মেথি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে তাতে দিয়ে দিন ড্রাই রোস্ট করা মসলাটি।

এবার সমস্ত কিছু মিনিট তিনেক রান্না করার পর তাতে ১ চামচ আমচুর পাউডার বা চাট মসলা, বিটনুন ও সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে সবশেষে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে ১-২ মিনিট ঢাকা দিয়ে রান্না করে নিলেই তৈরি সুস্বাদু জিরা আলু।

Related Articles