বাড়ি থেকে মাছি তারানোর সবচেয়ে সহজ ও ঘরোয়া টিপস
কমবেশি প্রতিটি বাড়িতেই মশা ও মাছির উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়। মাঝে মাঝে এগুলোর অত্যাচার বাড়িতে এতটা পরিমাণে বেড়ে যায় যে যার কারণে পড়তে হয় বিপাকে।

কমবেশি প্রতিটি বাড়িতেই মশা ও মাছির উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়। মাঝে মাঝে এগুলোর অত্যাচার বাড়িতে এতটা পরিমাণে বেড়ে যায় যে যার কারণে পড়তে হয় বিপাকে। আর তখন এই রোগ জীবাণু বহনকারী পোকামাকড় গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্বাভাবিকভাবেই বাজারে কিনতে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের মশা মাছি তাড়ানোর রাসায়নিক পদার্থগুলোকে কিনে এনে বাড়িতে প্রয়োগ করতে হয়। আর এই রাসায়নিক ওষুধগুলি আদতে খুবই ক্ষতিকারক মানুষের জন্য।
সাধারণত ময়লা, আবর্জনা ও নর্মদার মতো অপরিষ্কার জায়গায় মশা-মাছিদের বসবাস সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয়। যার কারণে মাছিরা কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু ছড়ানোর জন্য দায়ী। এরা নানা রকম সবজি এবং ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাত করে। আর এরা যেই ফল অথবা সবজির ওপর বসে সেই ফল মানুষের পেটে গেলে নানা রকম রোগের সৃষ্টি হয়। তাই এবার আর বাইরের রাসায়নিক পদার্থ মশা-মাছি তাড়াতে প্রয়োগ করে ঘরোয়া উপাদানেই নিমেষে তাড়ান মশা ও মাছির উপদ্রব।
প্রথমত, মাছি থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রমণ ছড়ানো থেকে রুখতে ফল এবং সবুজ শাকসবজি ভালো করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখুন। কারণ মাছিরা সাধারণত পচে যাওয়া সবজি ও পাকা ফলের উপর নিজেদের বাসস্থান বানায়। তাই সর্বদা পচে যাওয়া সবজি ও ফলগুলি সতেজ ফল থেকে আলাদা করে রাখুন।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত বাড়ির ও বাড়ির বাইরের আবর্জনা পরিষ্কার রাখুন। কারণ আবর্জনার মধ্যেই মাছিদের বংশবিস্তার দ্রুত হয়।
তৃতীয়ত, সর্বদা রান্নাঘর এবং ফ্রিজ ভালো করে পরিষ্কার রাখুন। কারণ অপরিষ্কার জায়গায় মাছিদের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়।
চতুর্থত, এই সমস্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বনেও যদি বাড়িতে মাছির উপদ্রব লক্ষ্য করেন তাহলে তার জন্য একটি পাত্রে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে পাত্রের মুখটি সেলোফেন পেপার দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে দিন। তারপর তার ওপর ছোট ছোট ছিদ্র করে দিন যাতে সেখান দিয়ে মাছি প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে ভিনেগারের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে যখনি মাছি পাত্রের ভেতর প্রবেশ করবে তখনই মাছি আর সেখান থেকে বেরোতে পারবেনা।