১২ মাস গাছ থাকবে সতেজ! তুলসী গাছে অবশ্যই করুন এই ২টি কাজ
হিন্দু ধর্মের বলা আছে তুলসী গাছে ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মী বসবাস করেন।

হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী গাছকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মের বলা আছে তুলসী গাছে ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মী বসবাস করেন। তাই নিয়মিত তুলসী গাছের আরাধনা করলে এই দুই দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বাড়ির উঠোনে মা আশেপাশে তুলসী গাছ রাখা অত্যন্ত শুভ। যাদের বাড়িতে উঠোন নেই বা আশেপাশে জায়গা নেই তারা বাড়ির বারান্দায় তবে করে তুলসী গাছ লাগাতে পারেন। এই গাছ বাস্তু জন্যও খুবই উপকারী। অর্থাৎ যে বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানো হয় সেই বাড়ির বাস্তু দোষ দূর হয়।
বসন্ত না যেতেই তাপমাত্রা ভালই বৃদ্ধি পেয়েছে শহরজুড়ে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালা সবকিছু উপরেই পড়ে। গরমকালে সব গাছেই প্রায় সমস্যা দেখা দেয়। তুলসী গাছেও একাধিক সমস্যা দেখা যায় গরম কালে। তুলসী গাছের পাতা কুঁকড়ে যাওয়া, এমনকি গাছ পুরো শুকিয়ে মরে যাওয়ার মত সমস্যাও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে বলে রাখি তুলসী গাছ মারা যাওয়া খুব একটা শুভ লক্ষণ নয়। তাই আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের তুলসী গাছ বাঁচানোর বেশ কয়েকটি টিপস জানানো হবে। আসুন জেনে নিন কিভাবে তুলসী গাছ বাঁচিয়ে আপনার বাস্তুকে বিপদমুক্ত করবেন।
১: মাঝেমধ্যে তুলসী গাছের গোড়ার মাটি নিরানী দিয়ে হালকা কুপিয়ে নেবেন। এর ফলে গাছে প্রয়োগ করা খাবার সহজেই মাটিতে মিশে যাবে।
২: তুলসী গাছের খাবার বলতে তুলসি গাছে নিয়মিত সার প্রয়োগ করা খুবই জরুরী। এরজন্য একটি তুলসী গাছের ক্ষেত্রে দু মুঠো কেঁচো সার, এক মুঠো নিম খোল ও এক চামচ ম্যাগনেসিয়াম সালফেট নিয়ে নেবেন। এখন এই তিনটি সার ভালোভাবে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে দেবেন।
৩: তুলসী গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া বা পাতা কুড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ম্যাগনেসিয়াম সালফেট জলে মিশিয়ে গাছে পাতায় স্প্রে করে দিতে পারেন।
৪: তুলসী গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করার সময় মাটি খুঁড়ে সার দিয়ে তার উপর দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া আবশ্যক।
৫: তুলসী গাছে অনেক সময় মিলিবাগের আক্রমণ হয়। মিলিবাগ থেকে তুলসী গাছকে রক্ষা করতে এক লিটার জলের মধ্যে যে কোনো ফ্যাঙ্গিসাইট মিশিয়ে খুব ভালো করে স্প্রে করুন। এতে মিলিবাগের আক্রমণ কমে আসবে।