জমি ছাড়াই, বস্তার মধ্যে খুব সহজে ১২ মাস চাষ করুন শসা, শিখে নিন বিশেষ পদ্ধতি
রাসায়নিক পদ্ধতির থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ফলটিকে চাষ করা বেশি উপকারী।

গ্রীষ্ম, শীত বা বর্ষা, সব ঋতুতেই মোটামুটি শসা পাওয়া যায়। স্যালাডের সঙ্গে হোক বা শুধু সবভাবেই শসা খাওয়া যায়। তবে শসাকে অনেকেই সবজি বলে চিহ্নিত করেন আবার অনেকেই ফল হিসেবে চিহ্নিত করেন। যে যেভাবেই শসা ব্যবহার করা হোক না কেন, শসা খুবই উপকারী একটি ফল। ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রেও শসার জুড়ি মেলা ভার।
তবে জানেন কী, এই ফলটিকে আপনি বাড়িতেও চাষ করতে পারেন? কারণ রাসায়নিক পদ্ধতির থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ফলটিকে চাষ করা বেশি উপকারী। শসা ফাইবার ও ফ্লুইডসমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা মেটায়। এছাড়াও শসার মধ্যে উপস্থিত স্টেরল নামে উপাদানটিও শরীরের কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও শসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, আর্থ্রাইটিস, অ্যাগজিমা, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা কমাতেও বেশ সাহায্যকারী। তবে যারা সাইনোসাইটিস রোগে আক্রান্ত, তাঁরা শসা ফলটির থেকে এড়িয়ে চলুন। কারণ শসা খেলে ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা থাকে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কী ভাবে শসা চাষ করা সম্ভব ?
১. শসা চাষের জন্য এক বস্তা সিমেন্টের সঙ্গে গোবর সার এবং দোআঁশ মাটি মিশিয়ে নিতে হবে।
২. মাটিতে বীজ বপন করার আগে মাটিকে ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে। এর পরে শসা বীজ ভাল করে মাটির গভীরে রোপণ করে দিতে হবে।
৩. বীজ বপনের প্রায় সাত থেকে আট দিন পরে শসার বীজ থেকে চারা বেরোবে। এরপর গাছটি যাতে ঠিক করে বড় হতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমানে সূর্যের আলো, জল এবং মাটি পায় সেটি নজরে রাখা উচিত।
৪. গাছের খাদ্য হিসেবে বাজার থেকে সার কিনে আনলে ভালো। কারণ বাজারজাত সারের মধ্যে থাকে জিঙ্ক, কপার, সালফেট, অ্যামনিয়া, সীসা, ফসফরাস। যা গাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৫. শসা গাছ লতানোর মত জায়গা পেলে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। সেই কারণে মাচার মধ্যে সুতো এবং বাঁশের সাহায্যে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে।
এইভাবে শসা চাষ করলে ৫০ দিনের মধ্যেই শসা গাছ বড় হয়ে উঠবে।
Disclaimer: কৃষিবিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞ পরামর্শ এবং মতামত অনুযায়ী প্রতিবেদনটি লিখিত। পদ্ধতিগত ক্ষেত্রে এর ফলাফল আলাদা হতে পারে।