মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে হয়েও মেলেনি সন্মান, কাজের জন্য পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয় মিমোকে
মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী, যাকে সবাই মিমো নামেই চেনে।

কথায় আছে, পাঁকে পদ্ম ফুল ফোটে আবার রাজার ছেলে রাজাই হয়। কিন্তু আমাদের আজকের গল্পে চরিত্রগুলো খানিকটা এক হলেও তাদের কাহিনী কিছুটা উল্টো। এক কথায় বাংলা ও বাঙালির সেরা অভিনেতা হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পাশাপাশি ডান্সের দিকে দিয়েও সেরা তিনি। যাকে বলে বলিউডের “ডিস্কো ডান্সার” তিনি। চলচ্চিত্র জগতের প্রায় কয়েক দশক অভিনয় করে তিনি আজ একজন সফল সিনিয়র অভিনেতা। একটা সময় দাপিয়ে বলিউডে এবং বাংলা সিনেমা জগতে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakroborty)।
তাঁর খ্যাতি শুধু বলিউডে নয় সুদূর টলিউড পর্যন্ত বিস্তৃত। এককালে বাংলা থেকে হিন্দি সমস্ত জায়গায় তিনি নিজের রাজত্ব তৈরী করেছিলেন। তবে অনেকদিন ধরেই বলিউড টলিউড সব মহল থেকেই বিরতি নিয়েছেন আমাদের বাংলার “ফাটাকেষ্ট”। তবে স্ট্রাগলিং জীবন মোটেও সহজ ছিলনা। একটা সময় ফাঁকা পকেটে পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন একটি সুযোগের জন্য। এখন তাঁর ছেলেকে ঘুরতে হয় একটি সুযোগের জন্যে পরিচালকের দরজায় দরজায়। হ্যাঁ, আজ আমাদের আলোচ্য বিষয়, মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী। যাকে সবাই মিমো নামেই চেনে।
তবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মিমোর খ্যাতি খুব একটা নেই বললেই চলে। ১২ টি সিনেমা তিনি করেছেন কিন্তু কোনও সিনেমাই সফল হয়নি তাঁর। ২০১১ সালে, তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি পেয়েছিল যার নাম ‘হান্টেড – থ্রিডি’। ছবিটি সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। একবার একটি সাক্ষাৎকারে মিমো নিজেই জানিয়ে ছিলেন, “সুপারস্টারের ছেলে হয়েও বলিউডে পা রাখাটা আমার জন্য সহজ ছিল না। এখনও আমি একজন অভিনেতা হিসাবে এখানে আমার জমি খুঁজছি। এত বছর ধরে আমার একটা ভিন্ন যুদ্ধ ছিল, নিজের সঙ্গেই লড়ছিলাম। আমি প্রতিদিন নিজেকে বলতাম মিমো, তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে, সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি অভিনেতা পরিবারের ছেলে, আমার কাজ পেতে অসুবিধা হবে না, কিন্তু আসল খবর কেউ রাখে না। আমি অ্যাচিভ করেই ছাড়ব। আজও অডিশন দিতে গেলে আমার মধ্যে একটি নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। আমায় কাস্ট করবে না এই ভেবে।”
অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তী ছেলের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “মিমো, তোমার ছবি চলুক আর না চলুক, কিন্তু আমি গর্বিত তোমায় নিয়ে। বাবা হিসেবে বাবার কর্তব্য সবই করব, কিন্তু আমি তোমায় নায়ক বানাব না। তোমাকে নিজেই তা অর্জন করতে হবে।” আগামী দিনে মিমোর দুটি ছবি মুক্তির পথে রয়েছে। একটি রুশ ক্রাইমের রিমেক, অন্যটি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ‘যোগীরা সারারা’। তবে সিনেমা সফল না হওয়ার পেছনে মিমোকে বারবার দোষ দেওয়া হত যে তিনি বাবা মিঠুন চক্রবর্তীর মতন হতে পারেননি। একটা সময় এই কারণে ডিপ্রেসন চলে গিয়েছিলেন মিমো। কিন্তু পরে তিনি বুঝেছিলেন তাঁর বাবা কতটা খ্যাতিসম্পন্ন মানুষ।