×

‘ভেবেছিলাম মরেই যাব’! সুবানের সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে এতদিন পরে মুখ খুললেন তিয়াশা

অভিনেত্রী তিয়াসা লেপচা (Tiyasha Lepcha)। 'কৃষ্ণকলি' ধারাবাহিকের মাধ্যমে গোটা বাংলা তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

জনপ্রিয় একটি ইউটিউব চ্যানেল ‛জোশ Talks’। জনপ্রিয় ব্যক্তিরা তাঁদের নিজেদের জীবনের কঠিন পরিস্থিতির গল্প শেয়ার করে থাকেন এই প্লাটফর্মে। কোন পরিস্থিতিতে থেকে তাঁরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, তাদের জীবনের গল্প প্রচুর মানুষের ইন্সপিরেশন। সম্প্রতি ছোট পর্দার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী কে ‛জোশ Talks’ এর মঞ্চে তার জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে দেখা গেছে। সেই অভিনেত্রী হলেন ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিক খ্যাত অভিনেত্রী তিয়াসা লেপচা (Tiyasha Lepcha)। ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে গোটা বাংলা তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। যদিও এখন স্টার জলসায় ‘বাংলা মিডিয়াম’ নামক ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি।

‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন কারণে খবরের শিরোনাম এসেছে এই অভিনেত্রীর নাম। তার ব্যক্তিগত জীবন খবরের শিরোনামে আসার প্রধান একটি কারণ। বাস্তব জীবনে এই অভিনেত্রী একজন ডিভোর্সী। গতবছর ২৮ ফেব্রুয়ারি খাতায় কলমে বিচ্ছেদ হয়েছে তিয়াসা ও সুবানের (Tiyasha – Suban)। ঠিক কি কারনে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটেছিল এই কথা উঠলে বারবার সেখানে আসে তৃতীয় এক ব্যক্তির নাম। তবে কোন সেই তৃতীয় ব্যক্তি সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

গোবরডাঙ্গা এলাকার খুবই সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েটি তিয়াসা। স্বামী সুবানের হাত ধরে গ্লামার দুনিয়ার পা রেখেছিলেন তিনি। অভিনয়ের যা কিছু সবকিছু শিখেছিলেন সুবানের কাছেই। কিন্তু সেই সুবানের সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর এই অভিনেত্রীকে নানান কটুক্তি শুনতে হয়েছিল। ‌ অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তিয়াসাকে। সাফল্য পেয়ে কি বদলে গিয়েছিল সে? এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। সব প্রশ্নের উত্তর তিয়াসা খোলামেলা দিয়েছেন ‛জোশ Talks’ এর মঞ্চ। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট মাধ্যমে।

ভিডিওর শুরুতেই দেখা যায় তিয়াসা নিজের পরিচয় পর্ব সারেন। এরপর তিয়াসা বলেন অনেকেই ভাবেন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মন নেই। আসলে এমনটা নয়। অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও মন রয়েছে। হাসি, দুঃখ, আনন্দ সব রয়েছে। সবকিছু টিভিতে দেখা যায় না। এরপর তিয়াসা নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বলেন যে, আমার বলতে কোনো দ্বিধা নেই যে আমি আমার স্বামীর হাত ধরেই সব শিখেছি। একশন, কাট সবকিছু তাঁর থেকেই শেখা। এত বড় একটা প্লাটফর্ম আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য সুবানকে ধন্যবান।

এরপর তিয়াসা বলেন, ‛আমি কাউকে ছেড়ে দিয়েছি এই লাইনটায় আমার সমস্যা আছে’। আমি কাউকে ধরা বা ছেড়ে দেওয়ার কেউ নই। দুটো মানুষের সম্মতিতে ডিভোর্স হয়। কিন্তু আজও মানুষ ডিভোর্সের জন্য একমাত্র মেয়েদেরই দায়ী করে। সমস্যা যে কারোরই হতে পারে। কিন্তু তাই বলে শুধুমাত্র মেয়েদের দোষ দেওয়া ঠিক নয়। প্রত্যেকটি মানুষেরই নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

এরপর তিয়াসা বলেন, একসময় এই সব কিছুর কারণে তিনি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও ভেবেছেন। যদিও পড়ে মনের জোরে এই সব থেকে বেরিয়ে এসেছেন। সব শেষে তিয়াসা দর্শকদের জন্য একটি প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিয়াসা বলেন যে, মা-বাবা সন্তানকে সাইকেল কিনে দেন। তাই বলে কি সাইকেল শেখা হয়ে যায়? সকলেই নিজের চেষ্টায় সাইকেল চালানো শিখতে হয়। তেমনই সুবানের দেওয়া প্ল্যাটফর্ম নিজের চেষ্টায় গড়ে নিতে হয়েছে আমাকে।

Related Articles