×

‘এত বড় হয়ে গেছে কোনও লক্ষ্মণ দেখছি না’, ছেলের চিন্তায় ঘুম উড়েছে ‘দিদি নং ১’ রচনার

প্রতিটি মা-বাবাই তাঁর সন্তানকে নিয়ে নানা রকম চিন্তা ভাবনা করে থাকে।

প্রতিটি মা-বাবাই তাঁর সন্তানকে নিয়ে নানা রকম চিন্তা ভাবনা করে থাকে। সন্তানরা কৈশোরে পা দিলে সেই চিন্তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এরপর কৈশোর জীবন পেরিয়ে যখন যৌবনের দিকে এগোয় তখন তাদের মধ্যে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে। ‌বয়ঃসন্ধিকালে প্রতিটি ছেলেমেয়ে তাঁদের একটা আলাদা জগত তৈরি করে নেয়। যেখানে খুব কাছের কিছু বন্ধু-বান্ধব ছাড়া আর কাউকেই জায়গা করে দেয় না তাঁরা। এমনকি বাবা-মা কেও না। সিঙ্গেল পেরেন্টদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়। সম্প্রতি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বাংলার ‘দিদি নাম্বার ১’ রচনা ব্যানার্জি (Rachana Banerjee)। সম্প্রতি ‘দিদি নাম্বার ১’ এর মঞ্চে সেই কথাই জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিল ‘জগদ্ধাত্রী’র নায়ক ‘স্বয়ম্ভু’। এই অভিনেতার আসল নাম সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়। ‘দিদি নাম্বার ১’ এর স্পেশাল পর্বে মাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এপিসোড চলাকালীন রচনা ব্যানার্জি স্বয়ম্ভুর মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলে ‘স্বয়ম্ভু’ বাস্তব জীবনে কেমন? সৌম্যদীপ অর্থাৎ স্বয়ম্ভুর মা মিঠু মুখোপাধ্যায় জানান, ‘ছোটবেলায় ভয়ানক দুরন্ত ছিল। কথা শুনত না একেবারেই। সামলাতে পারতাম না ছেলেকে। বড় হয়ে নিজে থেকেই শান্ত হয়ে গিয়েছে।’

মিঠু দেবীর মুখে ওই কথা শুনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি দেখা যায় রচনা ব্যানার্জীর চোখে মুখে। এরপর রচনা ব্যানার্জি মিঠু দেবীর উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করেন, এটা কোন বয়স থেকে হয়েছে? হাসিমুখে সৌম্যদীপের মা জানান, ‘১৫-১৬ বছর বয়সে শান্ত হয়ে গিয়েছে ছেলে’। এরপর রচনা ব্যানার্জি বলেন, ‘আমার ছেলে ১৫। কোনও লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছি না!’ রচনা ব্যানার্জীর কথার জবাবে মিঠু দেবী আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘হবে, আস্তে আস্তে হবে।’ এরপরেই রচনা ব্যানার্জি জোড় হাত করে ভগবান কে স্মরণ করে প্রার্থনা করতে থাকেন যে তাঁর ছেলে যেন একটু শান্ত হয় এবং তাঁর যেন মতি-গতি ফেরে।

রচনা ব্যানার্জি ও প্রবাল বসুর একমাত্র সন্তান রৌনাক ওরফে প্রনীল। যদিও স্বামী প্রবালের সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে রচনা ব্যানার্জীর বহুদিন আগে। তবে অফিশিয়ালি ডিভোর্স করেনি তাঁরা। একা হাতে যথেষ্ট অনুশাসনে ছেলে রৌনাককে বড় করছেন রচনা ব্যানার্জি। ছেলেকে মানুষ করার জন্য সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। রচনা ব্যানার্জীর জীবনের এখন একটাই লক্ষ্য ছেলেকে সঠিকভাবে বড় করে তোলা। যদিও এর আগে ছেলে প্রেম করছে কিনা সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছিল অভিনেত্রীর।

এর আগে ‘দিদি নাম্বার ১’ এর মঞ্চে অভিনেতা সোহেল দত্তের সাথে কথোপকথন হওয়ার সময় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি প্রতি দিন রাতে কান ধরে আমার সঙ্গে শোয়াই। কিন্তু ও কিছুতেই আমার সঙ্গে শুতে চায় না।’ সেই সময় সোহেল রচনা ব্যানার্জিকে বলেন, ‘ও তোমার সাথে শুতে চায় না মানেই বুঝতে হবে ওর মনে ফুল ফুটেছে’। এই কথা শুনে একপ্রকার মাথা ঘুরে গেছিল রচনা ব্যানার্জীর।

Related Articles