ঐন্দ্রিলাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না, ক্ষমা চাইলেন সব্যসাচী
মহাপীঠ- তারাপীঠের বামাখ্যাপা চরিত্রে অভিনয় করে সব্যসাচী দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, এবার সাধক রামপ্রসাদ হয়ে পর্দা কাঁপাতে চলেছেন সব্যসাচী।
২০ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। কে জানত, তাঁর নামের আগে কোনদিনও লেট বা ঈশ্বর বসাতে হবে। দেখতে দেখতে দেড় মাস কেটে গেল। তবে তাঁকে নিয়ে বেশি চর্চা ছিল, তাঁর ভালোবাসার জন্যে। ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর অক্লান্ত ভালোবাসাই তাঁদের বিশেষ করে লাইমলাইটে এনেছিল। তাঁদের ভালবাসা এক প্রজন্ম সাক্ষী হয়ে রয়ে যাবে যুগের পর যুগ। তাঁদের পাঁচবছরের সম্পর্ক, ঝুমুর ধারাবাহিক থেকে বন্ধুত্ব শুরু, এরপর প্রেম।
জীবনের প্রথম কাজ ভালোবাসার মানুষের হাত ধরেই এবং শেষটাও ভালোবাসার মানুষের হাত ধরেই। কারণ দ্বিতীয়বার ক্যান্সারকে জয় করে একাধিক ওয়েবসিরিজে কাজ করেছেন অভিনেত্রী, তাঁর শেষ কাজটা ছিল ‘ভাগাড়’, সেখানেই মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা। তাঁদের ভালোবাসার সব প্রতীকী চিহ্নই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজত্ব করছে আজও। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রেমিককে একা ফেলে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা। রয়ে গেল তাঁদের অপূর্ণ ভালোবাসার গল্প স্মৃতি হয়ে। তবে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর নিজেকে অনেকটা দিন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে আলাদা করে রেখেছিলেন সব্যসাচী।
কাছের মানুষের এত নিষ্ঠুর শোক কাটানো মোটেই সহজ নয়। তবে কর্মস্থলে তো ফিরতেই হবে, সেটাই একমাত্র কাছের মানুষকে ভুলতে সাহায্য করবে। দিন কয়েক ধরেই জোর গুঞ্জন চলছিল যে, খুব শীঘ্রই ধারাবাহিকে ফিরছেন সব্যসাচী। তাও আবার ভক্তিমূলক চরিত্রের মাধ্যমে। মহাপীঠ- তারাপীঠের বামাখ্যাপা চরিত্রে অভিনয় করে সব্যসাচী দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।এবার সাধক রামপ্রসাদ হয়ে পর্দা কাঁপাতে চলেছেন সব্যসাচী। শনিবার জল্পনাকে সত্যি করে সকাল সকাল নতুন লুকে ধরা দিলেন অভিনেত। একেবারে ক্লিন শেভ লুকে কালি ভক্ত রামপ্রসাদের বেশে ধরা দিলেন সব্যসাচী।
শনিবারই প্রকাশ্যে এসেছে অভিনেতার নতুন সিরিয়াল ‘রামপ্রসাদ’ এর প্রথম প্রোমো। যেখানে তিনি জুটি বাঁধছেন, সৌদামিনী খ্যাত সৌমিলির সঙ্গে আর কালি অবতারে দেখা মিলেছে অভিনেত্রী পায়েলের।
প্রয়াত অভিনেত্রীর মা সংবাদ মাধ্যমকে সব্যসাচী প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “প্রতিদিন নিয়ম করে দু বেলা ফোন করেন সব্যসাচী। এদিনও সকালে সিরিয়ালের প্রোমোটা পাঠিয়েই ফোন করেছিলেন। দাড়ি গোঁফ কাটার আগেও ফোন করে আক্ষেপ করেন, ‘কাকিমা আমি তো কথা রাখতে পারলাম না’।” আসলে ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীর ক্লিন শেভ লুক একেবারেই পছন্দ করতেন না। দাড়ি গোঁফ কাটতে চাইতেন না সব্যসাচীও। কিন্তু সিরিয়ালের জন্যেই আজ সেই লুকে হাজির হতে হল অভিনেতাকে। শিখা দেবী নিজেই বুঝিয়েছেন সব্যসাচীকে। সঙ্গে মজা করে এও বলেছেন, মিষ্টি (ঐন্দ্রিলার ডাক নাম) থাকলে চিবিয়ে খেয়েই ফেলতেন তাঁর ‘সব্য’কে।