‘দাদার সঙ্গে আমার তুলনা হয় না’, অরিজিৎ সিংকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বোন অমৃতা
দাদা অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) মতোই গুণী তাঁর বোন অমৃতা সিং (Amrita Singh)।
দাদা অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) মতোই গুণী তাঁর বোন অমৃতা সিং (Amrita Singh)। সুরের জগতের সম্রাট বলাই যেতে পারে অরিজিৎকে। না একদম পুরোনো আমলের নয়, তাঁর উত্থান ২০১৩ সাল থেকে। আজ তিনি বলিউডের মেলোডি কিং হিসেবেই পরিচিত। সঙ্গে দেশের অন্যতম প্রতিভাবান গায়ক। যিনি তাঁর অসাধারণ কন্ঠের মাধ্যমে জয় করে ফেলেছেন লাখ লাখ মানুষের মন। দেশ-বিদেশ জুড়ে তাঁর লক্ষ লক্ষ ফ্যান ফলোয়ারস। তবে তাঁর খ্যাতি শুধু গানেই আটকে নেই। স্বভাবে সাদামাটা প্রকৃতির মানুষ তিনি।
তবে গায়কের বোন দাদার মতো অতটা সফল না হতে পারলেও বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বেশ নাম-ডাক। সম্প্রতি ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর ‘বিসমিল্লাহ’ ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। তাঁর গানেও মুগ্ধ সকলে। দাদার মতোই গুণী সে। এই মুহূর্তে বলিউড কাঁপাচ্ছেন অরিজিৎ সিং। কিন্তু জানেন কি, অরিজিৎ-এর থেকে কোনও অংশে কম যান না তাঁর বোনও। চার বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন তিনি। তবে বেশ কয়েক বছর মুম্বইতে থাকার পর এখন পাকাপাকি ভাবে কলকাতার বাসিন্দা অমৃতা।
অরিজিতের সঙ্গে একাধিক অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার অমৃতাকে একেবারে চেপে ধরা হয়েছিল। প্রথমেই প্রশ্ন, এমন খ্যাতনামী দাদার বোন হওয়ার সুবিধা বেশি না অসুবিধা, যাঁর দাদার এমন নামডাক, তাঁর তো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়া খুব বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু অমৃতার কথায়, “দাদা বলেই দিয়েছিল, তোমার নিজের পথ চলাটা একান্তই নিজের, কোনও সঙ্গীত পরিচালককে গিয়ে কখনও আমায় নেওয়ার কথা বলেনি। হ্যাঁ, গান নিয়ে কথা হয়, অনেক কিছু শিখি।”
খ্যাতনামী দাদার বোন হওয়ার সুবিধা কী? বললেন, “হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আছে। দাদার জন্যই সুযোগ পেয়েছি কৌশিকী চক্রবর্তীর মতো শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে তালিম নেওয়ার। দাদার জন্য গুণী মানুষদের সঙ্গ পেয়েছি। আর বাড়তি সুবিধা বলতে দাদার মতো কষ্ট আমাকে করতে হয়নি, আমার পথ অনেকটা মসৃণ। রিয়্যালিটি শোয়ের পর মুম্বইতে একটা দীর্ঘ সময় সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে কাজ করেছে। তাই দাদার পরিশ্রমটা দেখেছি। বাড়িতে ফিরে ঘুমোতে আসত শুধু। আমাকে এতটা কষ্ট করতে হয়নি।” বোনের উপর কি কখনও দাদাগিরি খাটিয়েছেন অরিজিত? অমৃতার স্পষ্ট কথা, “না, আসলে ভিড় পছন্দ করে না, আর কোথাও গেলেই লোকে মোবাইল নিয়ে চলে আসে, সেটা অপছন্দ। তবে দাদাগিরি বলতে তেমন কিছু না। একসঙ্গে বড় হয়েছি তো। তবে গানে যদি উনিশ-বিশ হয়, তা হলে মারও খেয়েছি দাদার কাছে।”