জয়া বা রেখা নয়, কলকাতার এই সুন্দরীর প্রেমে পাগল ছিলেন “বিগ বি” অমিতাভ বচ্চন
বলিপাড়ার "বিগ বি"( Big B) ৮০তে পা দিলেন। বিগ বির জন্মদিন নিয়ে তার ভক্তবৃন্দ দের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই।

গতবছর বিটাউনের ‘বিগ বি’ পা দিয়েছেন ৮০ তে। আর এ নিয়ে তাঁর ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের শেষ ছিল না। গত বছর অভিনেতার জন্মদিনে ভক্তদের চমকে দিয়ে মাঝরাতে হঠাৎ করে জলসার গেট খুলে দেওয়া হয়। আর বাকি দিনটা তিনি সেলিব্রেট করেছিলেন নিজের পরিবারের সাথে নিজের বাড়িতে। অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) বর্তমানে যে মাপের একজন অভিনেতা তা তাঁর বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন (Harivansh Rai Bachchan) ও মা তেজী বচ্চন (Teji Bachchan) কোনদিন কল্পনাই করতে পারেননি।
তবে অভিনেতার জীবনের শুরুটা এতটা সহজ ছিল না। একসময় তিনি কলকাতায় থাকাকালীন চাকরি করার পাশাপাশি করতেন থিয়েটার। আর সেখানেই তাঁর সাথে পরিচয় হয় মারাঠি মেয়ে ছন্দার সাথে। একটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি করে দুজনে ঘুরে বেড়াতেন শহর কলকাতার আনাচে-কানাচে। দুজনের সম্পর্ক ছিল প্রায় তিন বছরের। এর মধ্যে দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেও ততদিনে অভিনেতার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছে অন্যদিকে। ফলে অভিনেতাকে পৌঁছে যেতে হয় বোম্বেতে।
বোম্বে গিয়ে প্রথম প্রথম কাজ মিলতে যথেষ্ট ঝক্কি পোয়াতে হয় অভিনেতাকে। তাঁর হাইট এবং ভারী কণ্ঠস্বরের কারণে তিনি রিজেক্ট হয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া রেডিও (All India Radio) থেকে। অপরদিকে ছন্দার বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং ততদিনে পায়ের তলার মাটিও শক্ত নয় বচ্চন স্যারের। যার কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজের পরিবারের দেখা ছেলের সাথে বিয়ে হয় ছন্দার।
তবে অভিনেতা পরে থাকেন নিজের কেরিয়ার নিয়েই। পরপর ১২টি সিনেমা ফ্লপ হওয়ার পর ১৩ নম্বর সিনেমা ‘জঞ্জীর’ (Zanjeer) অমিতাভকে জিরো থেকে হিরোতে পরিণত করে দেয়। যখন তিনি নিজের কেরিয়ারের চূড়ান্ত সাফল্যে তখন অভিনেতার জীবনে আসে জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। প্রথমে বন্ধুত্ব ও তারপর প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন দুজনে। ১৯৭৩ সালে ‘জঞ্জীর’ সিনেমার সফলতা উদযাপনের জন্য লন্ডন ট্রিপ প্ল্যান করা হয়। কিন্তু অভিনেতার অভিভাবকের একটি শর্ত ছিল। যেহেতু অভিনেতার সাথে জয়াও যাবে লন্ডনে তাই দুজনকে প্রথমে বিয়ে করতে হবে। ফলে শেষমেষ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয় দুজনকে এবং সেই রাতেই তারা পাড়ি দেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে। এই নবদম্পতি কিন্তু লন্ডনের মাটিতেই প্রথম হানিমুন কাটিয়েছিল।